সাদ্দাম হোসাইন, হ্নীলা::
টেকনাফে ঘাতক বড়শীওয়ালার স্বীকারোক্তিমতে বড়শীতে রক্তাক্ত এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ শিশুর লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য প্রেরণ করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়-১ অক্টোবর বিকাল ৩টায় টেকনাফ মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই গৌতম সরকার রায় সাবরাং কাটাবনিয়ার মৌলানা সালামত উল্লাহর মৎস্যঘেঁর হতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ছোট হাবিবপাড়ার ছৈয়দ আলমের পুত্র তৌহিদুল আলম (৭) এর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে। রাতে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ পোস্ট মর্টেমের জন্য নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান-গত ৩০সেপ্টেম্বর সকালে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ছোট হাবিব পাড়ার হোছন আলীর পুত্র জেলে ইয়াছিন (৩৮) বড়শী নিয়ে কাটাবনিয়ার মৌলভী সালামত উল্লাহর মৎস্যঘেঁরে মাছ শিকারে যায়। এ সময় স্থানীয় ছৈয়দ আলমের শিশু পুত্র তৌহিদুল আলম (৭)কে সাথে নিয়ে যায়। বড়শী দিয়ে মাছ শিকারের এক পর্যায়ে শিশু তৌহিদুল আলমের চোখে বড়শী আটকে যায়। এমতাবস্থায় শৌর-চিৎকার দিলে জেলে ইয়াছিন জোর-পূর্বক বড়শীটি চোখ থেকে বের করে। এমতাবস্থায় শিশুর প্রচুর রক্তক্ষরণে অচেতন হয়ে পড়ে। ঘাতক জেলে ইয়াছিন শিশুটিকে পানিতে ফেলে দিয়ে বাড়ি চলে আসে। এদিকে সন্ধ্যা অবধি তৌহিদুল আলম বাড়ি ফিরে না আসায় খুঁজতে থাকে মা-বাবা। এক পর্যায়ে লোক মারফতে জানতে পারে শিশুটি জেলে ইয়াছিনের সঙ্গে মৎস্যঘেঁরে মাছ শিকারে যায়। শেষ পর্যন্ত জেলে ইয়াছিনকে বাড়িতে পেয়ে জানতে চাইলে উলট-পালট কথা বলতে শুরু করায় শিশুর মা-বাবার সন্দেহ হয়। পুলিশের সহায়তায় তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসে। তখন পুলিশ মৎস্যঘেঁর হতে রক্ষাক্ত শিশুর লাশ উদ্ধার করে। এই লোমহর্ষক শিশু হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ায় লোকজনের মনে ক্ষোভ ও আতংকের সৃষ্টি হয়।
পাঠকের মতামত